৩০ রকমের পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে
সাত মাস মহাকাশে থাকার পরে অবশেষে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোভার পারসিভারেন্স অবতরণ করল মঙ্গলে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে হয় এই অবতরণ। এবার লাল গ্রহে শুরু হবে প্রাণের সন্ধান।
বৃহস্পতিবার এই অপারেশনের প্রধান স্বাতী মোহন জানান, ‘অবতরণ সফল হয়েছে’। এই খবরে খুশির হাওয়া নাসায়। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ১১ মিনিট ধরে এই অবতরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তার পর থেকেই পৃথিবীতে খবর পাঠানো শুরু করেছে রোভার।
নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জুরবুকেন থেকে শুরু করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন এই মাহেন্দ্রক্ষণের। নিজের অফিসে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বাইডেন। অবতরণের পরে তিনি টুইট করে বলেন, “আজ আরও একবার প্রমাণিত হল যে বিজ্ঞান ও আমেরিকার মানুষের প্রচেষ্টায় কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।”
জানা গিয়েছে, প্রায় ৯ বছর ধরে মঙ্গলেই থাকবে পারসিভারেন্স। সেখান থেকে ৩০ রকমের পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করার কথা তার। তারপরে ২০৩০ সাল নাগাদ ফের পৃথিবীতে ফেরার কথা তার। তারপরে সেই সব নমুনা নিয়ে পরীক্ষা হবে। পারসিভারেন্সের সাতটি দু’মিটার লম্বা হাত রয়েছে। তাতে ১৯টি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। দুটি মাইক্রোফোন রয়েছে। সেইসঙ্গে পাথর কাটা ও মাটি সংগ্রহের নানা সরঞ্জামও রয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, অবতরণের আগে ‘আতঙ্কের সাত মিনিট’ পেরোন সবথেকে কঠিন ছিল। এই সময়ের মধ্যেই বেশিরভাগ মহাকাশ অভিযান শেষ হয়ে যায়। এই সময়টা পেরিয়ে যেতে পারলেই তারপরে কোনও গ্রহ বা উপগ্রহে অবতরণের আর সমস্যা থাকে না।
যাতে যাতায়াত ও অবতরণে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল পারসিভারেন্সকে তৈরি করার সময়। তাই এত মাস ধরে মহাকাশে থাকার পরেও কোনও সমস্যা হয়নি এই মহাকাশযানের। নাসা জানিয়েছে, অবতরণের সময়েই সবথেকে বেশি সমস্যা হয়। সেটা যাতে না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
অবতরণ শেষ। এবার শুরু হবে লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান। আগামী কয়েক বছর ধরে মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে পারসিভারেন্স। তারপরে রওনা দেবে পৃথিবীর উদ্দেশে। হয়তো নিয়ে আসবে এমন কোনও তথ্য যাতে খুলে যেতে পারে মহাকাশ গবেষণার সম্পূর্ণ এক নতুন দিক।
-ইন্টারনেট