মোঃসোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও থেকে: মানুষ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। মানুষের জীবনধারণ ও খাদ্যের জন্য অপরিহার্য পানি প্রকৃতি থেকেই আসে। সুতরাং নিজেকে বাঁচাতে হলে প্রকৃতিকে আগে বাঁচাতে হবে।
শনিবার মেধা অনুশীলন কেন্দ্র, ইএসডিও ঠাকুরগাঁওয়ে ১০দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও ফরেনসিক ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা বলছিলেন দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত আবাসিক এই প্রশিক্ষণে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশিরুল আল মামুন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সামাজিক বন বিভাগ,দিনাজপুর।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট এর কর্মকর্তা সঞ্জয় চন্দ্র, বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন সৃজনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বন কর্মকর্তা মোঃ আঃ মালেক প্রমুখ।
‘বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ আয়োজনে ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর ব্যবস্থাপনায় ১০দিন ব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণে ৩০জন স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণের ১ম দিনেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কার্যক্রম ও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল, বন্যপ্রাণীর প্রকারভেদ ইত্যাদি নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এই কর্মকর্তা বলেন,”আমাদের ইউনিটে দক্ষ লোকবলের অভাব।আমরা প্রত্যাশা করছি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের দক্ষ লোকবল বৃদ্ধি পাবে এবং বন্যপ্রাণী হত্যা,পাচার রোধ ও সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণার্থীরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”