বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদিত ডেইরি খামারের দুধের ন্যায্যদর প্রাপ্তিতে বিরাজমান সংকট নিরসনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ গুঁড়োদুধে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
সোমবার ( ৯ নভেম্বর ) এ ব্যাপারে পাঠানো নির্দেশে ভোক্তা অধিকার আইন ও নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় বিধি মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে ছোট এবং মাঝারি অনেক দুধের খামার। তাদের পণ্যের প্রধান ক্রেতা শহরের মিষ্টির দোকানগুলো। খামার মালিকদের কয়েকজন জানান, দুধ উৎপাদন খরচ প্রচুর বেড়ে গেছে। পশুখাদ্যের দাম, বিদ্যুৎ খরচ, জমির খাজনা ইত্যাদিতে ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু ৫ বছরে দুধের দাম প্রায় একই রয়ে গেছে। দফায় অনুরোধ, বৈঠক করেও কোন সুফল মেলেনি। মিষ্টি দোকানগুলো জোটবদ্ধ হয়ে দর বাড়াচ্ছে না দুধের। তাদের কাছে জিম্মি খামার মালিকরা।
শহর এলাকার দুধের খামারগুলোর ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে, দর কষাকষির সুযোগ আছে। কিন্তু পল্লী অঞ্চলের খামার মালিকদের সে সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত সংকটে চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের খামার মালিকরা। তাদের কিছু দুধ শিকলবাহা থেকে বনফুল ও ফুলকলি পিকআপে শিকলবাহা থেকে সংগ্রহ করে নেয়। বাদ বাকি দুধ তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। এতে লিটারপ্রতি বাড়তি যে খরচ তা দেয়ার দাবি খামার মালিকদের। কিন্তু মিষ্টি দোকান মালিকরা দিতে চাচ্ছেন না। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে তীব্র অসন্তোষ। বিক্ষুব্ধ খামারিরা রবিবার রাস্তায় দুধ ঢেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে যে নিম্নমানের এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গুঁড়োদুধ ব্যবহার করা হচ্ছে মিষ্টি তৈরিতে। তা হচ্ছে একেবারে অবাধে। মিষ্টি তৈরির সে সুযোগ দুধের ন্যায্য দর পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। তা দূর করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে আলোচ্য নির্দশ দেয়া হয়েছে।