Home First Lead বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের মন্ত্রীদের আলোচনা

বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের মন্ত্রীদের আলোচনা

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রী দামোদার ভান্ডারীর বৈঠক। ছবি : সংগৃহীত

নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দরকে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদর ভান্ডারী।

শনিবার (২৩ মার্চ) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

আলোচনায়, স্থলপথে বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য সম্প্রসারনের বিভিন্ন দিক স্থান পায়। উভয় পক্ষ, বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শনিবার সকালে নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরে, কাকরভিটা থেকে ভদ্রপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছান তিনি।

নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর, বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ড ভারতের অংশ।

ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে নেপাল কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। এই রুট সরাসরি ব্যবহারের উপায় বের করতে; বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।

এর আগে, প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শুক্রবার (২২ মার্চ) পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টশোলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান।

সেখানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে স্বাগত জানান ফুন্টশোলিং-এর গভর্নর কারমি জারমি। এরপর তারা পাসাখা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং কারমি জারমি, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টশোলিং সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।