Home First Lead ভেঙে দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ

ভেঙে দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ

সাত সদস্যের নতুন বোর্ড, রন ও রিক হক বাদ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার বর্তমান পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠনের নির্দেশ জারি করেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সুপারিশে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

সাত সদস্যে নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যেখানে বাদ পড়েছেন রন ও রিক হক শিকদার। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে: ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক ঋণ নিয়মাচার ও বিধি–বিধান লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন করা, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ, পর্ষদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের শেয়ার একই পরিবারে কেন্দ্রীভূত করা, পরিচালক নির্বাচন/পুননির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি, পর্ষদের অগোচরে পরিচালকগণ কর্তৃক আর্থিক অনিয়ম সংঘটন, পর্ষদের নীতি নির্ধারণী দুর্বলতার কারণে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি, ব্যাংকিং সুশাসন ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার মাধ্যমে ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে পর্ষদের সম্পৃক্ত থাকায় এবং পর্ষদের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সেচঞ্জ কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান পর্ষদ বাতিল করা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, নতুন করে যে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে- সেখানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সৈয়দ ফরাদ আনোয়ার। যিনি এখন বর্তমানে মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পরিচালক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভিন হক সিকদার, শফিকুর রহমান এবং মোয়াজ্জেম হোসেন। নতুন পরিচালনা পর্ষদে স্থান পেয়েছেন আগের পরিচালনা পরিষদের তিনজন পরিচালক। বাকি পরিচালকদের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগের পর্ষদে মোট পরিচালক সংখ্যা ছিল আটজন। তাদের মধ্যে থেকে নতুন পর্ষদে জায়গা পেয়েছেন তিনজন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ছিল ৩৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরের এই হিসাবটি ছিল সর্বোচ্চ ঘাটতি। এর আগে ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে সর্বোচ্চ ঘাটতি রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক কাঠামো বাসেল থ্রি অনুসারে, ব্যাংকগুলোর জন্য ন্যূনতম মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০.৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ রাখতে হয় নিরাপত্তা হিসেবে। ১৪টি ব্যাংক ন্যূনতম সিএআর বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং খাতের সিএআর ছিল ১১.০৮ শতাংশ।