Home কলকাতা প.বঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মারা গেছেন

প.বঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মারা গেছেন

সুব্রত মুখোপাধ্যায়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখাপাধ্যায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

  গত ২৪ অক্টোবর থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। কলকাতার এসএসকে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার ক্রমশই অবনতি হয়। তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। 

দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি মন্ত্রী ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ৭২এর দিনগুলিতে তিনি রাজ্যের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তাঁর উত্থান। একটা সময় বাংলার কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে। 

২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে  সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র হন। কিন্তু তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। কলকাতা পুরভোটে আলাদা জোট করে  লড়াই করেন। তিনি জিতলেও তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট পরাজিত হয়। তারপর তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। কিন্তু ২০১০ সালে আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। তারপর আমৃত্যু সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। 

২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই ময় তিনি পঞ্চায়েত মন্ত্রী হন। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব থাকা জনস্বাস্থ্য দফতরেরও দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁর কেন্দ্র বালিগঞ্জ থেকে জিতেছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। 
দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেস রাজনীতি থেকে তাঁর উত্থান হলেও রাজ্যের বাকি সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। সম্পূর্ণ বিপতীর মেরুর রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত বামেদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল। যদিও বামেরাই একটা সময় তাঁর দিল্লি যোগ নিয়ে কটাক্ষ করে স্লোগান তুলেছিল, ‘ইন্দিরার দুই পুত্র প্রিয়রঞ্জন সুব্রত।’ একটা সময় কংগ্রেস রাজনৈতিতে সোমেন প্রিয় আর সুব্রত নাম এই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিতি ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ধুতি পাঞ্জাবি পরা বাংলিক আইকনিক হিসেবেই প্রথম সারিতে রয়েছেন সুব্রত।