Home আন্তর্জাতিক পঞ্জশির উপত্যকায় জোর লড়াই

পঞ্জশির উপত্যকায় জোর লড়াই

ছবি সংগৃহীত

 তাদের কাছে নতিস্বীকার তো দূর অস্ত, কিছুতেই তালিবানকে পা রাখতে দেবে না পঞ্জশিরে । এমন শপথ আগেই নিয়েছে আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বের পঞ্জশির প্রদেশের প্রতিরোধ বাহিনী। তারা বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে ১৩ তালিবান সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে। তালিবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। ট্যুইটারে তারা বলেছে, পঞ্জশিরের চিকরিনাও জেলায় ন্যাশনাল  রেজিস্ট্যান্স বাহিনীর হামলায় তালিবানের ১৩ সদস্য খতম হয়েছে। ওদের একটা ট্যাঙ্কও ধ্বংস হয়েছে।গত দুমাস ধরে আফগানিস্তানের অন্যত্র ঝড়ের বেগে দখল করলেও কাবুলের ৯০ মাইল উত্তরে হিন্দুকুশ  পর্বতমালায় অবস্থিত পঞ্জশির উপত্যকা কব্জা করতে পারেনি তালিবান। পঞ্জশির প্রতিরোধ বাহিনীর মাথা নোয়াতে পারেনি। স্থানীয় খামা প্রেস জানিয়েছে, তালিবানের স্থানীয় কমিশনের প্রধান মোল্লা আমির খান মোত্তাকি বুধবার জানান, পঞ্জশিরের উপজাতি নেতাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

তালিবানের অবশ্য দাবি, গত তিনদিন ধরে চলা সংঘর্ষে শুধু তাদেরই নয়,  প্রতিরোধ বাহিনীর লোকজনও নিহত হয়েছে। তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ সামাঙ্গানি  তোলো নিউজকে বলেছেন, ইসলামিক আমিররাজের মুজাহিদরা পঞ্জশিরে কিছু শক্তির হাতে আক্রান্ত হয়েছে, যারা মুখে প্রতিরোধ করবে বলে বড় বড় কথা বলে। তবে মুজাহিদরাও আক্রমণের জবাব দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ অপর পক্ষের প্রচুর লোকজন নিহত হয়েছে। পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবাদপ্রতিম নিহত আফগান কম্যান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ ও প্রাক্তন আফগান সরকারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ।

সালেহ বলেছেন, সব আফগান নাগরিকের  অধিকার রক্ষাই আমাদের প্রতিরোধের লক্ষ্য। এই প্রতিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে পঞ্জশির। আজ এই উপত্যকা গোটা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে, অত্যাচার থেকে পালানো আফগান জনতার আশার আলো।  গত কয়েক বছরে আধিপত্য বিস্তারকারী কাঠামো স্থিতিশীলতা দেয়নি। ভূখণ্ডের ওপর তোমাদের (তালিবান) আজকের আধিপত্যও স্থিতিশীলতা নয়। স্থিতিশীলতা একটি ধারাবাহিক সিস্টেম, যাতে এমন সব উপাদান থাকে, যার থেকে তোমাদের দল অনেক দূরে। অর্থনীতির বেহাল দশা, পরিষেবা কাঠামোর অনুপস্থিতি শীঘ্রই তোমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে। মানুষের বিক্ষোভ, প্রতিরোধ মোকাবিলায় পাল্টা দমনপীড়নও কাজে আসবে না। সময়ের অপেক্ষা শুধু।