স্থানান্তর দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি পেশ
ছয়মাস আগে তাদের নব নির্মিত ছাত্রাবাসে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে তাদেরকে জরাজীর্ন ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে হচ্ছে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এ ছাত্রাবাসে তারা নিরুপায় হয়ে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার রাতে ও আজ সকালে ছাদের পলেস্তারা খসে বিছানার উপর পড়েছে। সৌভাগ্যক্রমে সেখানে কেউ অবস্থান না করায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেনি।
পটুয়াখালী থেকে রাকিবুল ইসলাম তনু: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের পুরুষ ছাত্রাবাসের ছাদ ধসের ঘটনায় আতংকিত শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ছাত্রাবাসের দাবীতে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
আজ বুধবার বেলা ১২ টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা.আবদুল মতিনের কাছে স্মারক লিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
আতংকিত শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন স্থাপনা মেডিকেল কলেজে রুপান্তর করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সমসাময়িক সময়ে সরকারের অনুমোদনকৃত সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর মেডিকেল কলেজ স্বতন্ত্র ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হলেও পটুয়াখালীর এক প্রবীন রাজনৈতিক নেতার একগুয়েমির কারনে স্বতন্ত্র ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে মানবেতরভাবে এখানে অবস্থান করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনে মেডিকেলের কার্যক্রম চলমান থাকায় প্রায়শই বিভিন্নস্থানে ফাটল,পলেস্তারা খসে পড়া, নাজুক পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বর্ষাকালে ড্রেনের পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়া নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তারা জানান, ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে নতুন ছাত্রাবাসে হস্তান্তরের কথা থাকালে কাজ শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত তাদের জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হচ্ছে।
তারা জানান,২০২১ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ উর্দ্ধতন কমকর্তারা পটুয়াখালীতে মেডিকেল পরির্দশনে আসলে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের মাধ্যমে ছাত্রাবাসে স্থানান্তরের দাবী জানান। ছয়মাস আগে তাদের নব নির্মিত ছাত্রাবাসে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে তাদেরকে জরাজীর্ন ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে হচ্ছে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ এ ছাত্রাবাসে তারা নিরুপায় হয়ে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার রাতে ও আজ সকালে ছাদের পলেস্তারা খসে বিছানার উপর পড়েছে। সৌভাগ্যক্রমে সেখানে কেউ অবস্থান না করায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেনি। জরুরী ভিত্তিতে তাদের নতুন ছাত্রবাসে স্থানান্তর করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
পরে জেলা প্রশাসকের দরবার হলে ছাত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের নতুন ছাত্রাবাসে স্থানান্তর করা হবে।