প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার নায়িকা (অ্যাডাল্ট ফিল্ম স্টার) থাইনা ফিল্ডসের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে।
জানা গেছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই থাইনা অভিযোগ করেছিলেন – প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। এরপরই পেরুর ট্রুজিলোতে নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।
থাইনার মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল যে সংবাদপত্রে, সেখানে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বক্তব্য নেয়া হয়েছিল। তিনিও প্রাপ্তবয়স্ক ছবির অভিনেত্রী, নাম আলেজান্দ্রা সুইট।
তিনি জানান, বন্ধুর মৃত্যুর খবরে দুঃখিত। কিন্তু এর বেশি কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
আলেজান্দ্রা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, বন্ধুরা, আমি আপনাকে কেবল তার জন্য এবং সেই সমস্ত লোকের জন্য প্রার্থনা করতে বলব, যারা সত্যিকার অর্থে তার প্রশংসা করেছেন।
থাইনা ফিল্ডসের আসল নাম অ্যাবিগেল। মৃত্যুর আট মাস আগে তিনি অভিযোগ করেন, প্রাপ্তবয়স্ক ছবির জগতে তিনি ভয়ঙ্করভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
থাইনা বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের কন্টেন্ট তৈরি শুরু করার পর আমি যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। প্রথমে অনেকে ভেবেছিল যে, আমাকে নিয়োগ করে তারা আমার সঙ্গে যা খুশি তা-ই করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমি বাড়ি এসে গোসল করেছি আর কেঁদেছি। এটা আমার সঙ্গে অনেকবার হয়েছে। একজন নারী হওয়া এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কন্টেন্ট তৈরি করা খুব কঠিন।
থাইনা ফিল্ডসের বয়স ২৪-এর আশেপাশে। পেরুর অ্যাডাল্ট ফিল্মের দুনিয়ায় তিনি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুরাগীর সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছিল।
থাইনার ঘনিষ্ঠ অনেকের ধারণা, অ্যাডাল্ট ফিল্ম জগতে যে রাজনীতি চলে সেকথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন থাইনা। সে কারণেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হতে পারে।
সূত্র : নিউজ১৮ ও আনন্দবাজার।