বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: সৈকত শহর কক্সবাজারে নারী পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিক এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মামুনুর রশীদ (২৮)।
এর আগে হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ আলোচিত মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোসলেম উদ্দিন রবিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান ‘তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মূল হোতা আশিক এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্রিফিংয়ের সময় টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গত বুধবার সকালে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান তিনি। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। ধর্ষণ শেষে তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।