Home Second Lead পশুর হাট বাড়াতে চায় কর্পোরেশন

পশুর হাট বাড়াতে চায় কর্পোরেশন

নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম: প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমন।নগরীতে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা ভর করেছে। এরই মধ্যে ঈদুল ফিতরের শেষে ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ। সবকিছু মিলিয়ে সংক্রমণে বাড়ার শঙ্কায় এবার কোরবানি পশুর হাট বাড়ানোর কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলরা বলছেন, এবারে নগরীতে কতটি পশুর হাট বসানো হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সুবিধাজনকস্থান বুঝে এবার বাড়ানো হতে পারে আরও দুই কিংবা তিনটি হাট-আপাতত সেভাবেই ভাবছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

কর্পোরেশনের এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী বিজনেসটুডে২৪কে বলেন, কোরবানি পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের এখান থেকে অনুমতি পেলে আমরা জেলা প্রশাসন বরাবর চিঠি পাঠাবো। এটা চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে।

করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছর ৪টি অস্থায়ী হাটে বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। খন্ডকালীন হাটগুলো শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে দশ দিনের জন্য বসানো হয়। নগরীর ৩টি স্থায়ী হাট হলো- সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার।

গতবার অনুমতি পাওয়া ৪টি অস্থায়ী হাট হলো- কর্ণফুলী পশুর হাট, কমল মহাজন হাট গরুর বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার ও পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠে গরুর হাট।

তবে এবার ৭ থেকে ৯টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি চাইবে চসিক।

তিনি আরো বলেন, এবার কতটি হাটের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠাবো তা এখনও আলোচনা পর্যায়ে আছে। গতবার আমরা ছয়টি খন্ডকালীন হাটের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। আমাদের চারটি হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ৭,৮ অথবা ৯টির জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবো। জেলা প্রশাসন যে কটার অনুমোদন দেয় সেগুলোই। এর বাইরে হাট বসানোর সুযোগ নেই।

কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে বর্ষা মৌসুমে হাট বসানোর অভিজ্ঞতার আলোকেই এবারে হাট বসানোর বিষয়টি মাথায় রেখে এগুচ্ছে কর্পোরেশন। কারণ চলমান বর্ষায় হাটে পানি জমার সম্ভাবনা রয়েছে। উঁচু-নিচু এসব ঢালু জমি সমান করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করা সহ  খুঁটি তৈরির কাজ শেষ করতে হাতে কিছু সময় প্রয়োজন হয়। কাজেই আগে থেকেই সংশ্লিষ্টদের সাথে মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র অনুমতি সাপেক্ষেই পশুর হাট বসানো হবে।