বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা: ঝড়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, বাসন্তী, পাথর প্রতিমা সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় অন্তত দশ হাজার কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর মহকুমার বহু এলাকায় রাস্তায় বড় গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও। সেখানে হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, ধামাখালি, হাড়োয়া, সন্দেশখালিতেও কয়েক হাজার কাঁচা ঘর ভেঙে পড়েছে। তা ছাড়া ব্যারাকপুর মহকুমা ও বসিরহাট মহকুমার বহু এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে। দুই চব্বিশ পরগনাতেই বহু জায়গায় বিদ্যুতের পোল উপড়ে গিয়েছে।
দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর মিলিয়ে মোট ১৫ টি নদী বাঁধ ভেঙেছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। সেখানে ৯টি নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভেঙেছে ৫ টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ১ টি। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গার উপরে কচুবেড়িয়ায় ও নামখানার নারায়ণপুরে দুটি জেটি ভেঙেছে বলেও জানা গিয়েছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ। তার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অক্ষ তথা তার চোখের অর্ধেকটা সুন্দরবনের স্থলভাগে ঢুকে পড়ে। তার পর সন্ধে সাড়ে ৬ টা নাগাদ তা পুরোপুরি আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। ঝড়ের তীব্রতা তখন বাড়তে থাকে কলকাতাতেও। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার। হালফিলে যা কখনও দেখেনি এই মহানগরী।
ঝড় গতি কমিয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিমের দিকে রওনা হয়। ফলে তখন নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে ঝড়ের গতি ছিল ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার। তার পর তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।