Home আন্তর্জাতিক পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, ৪০০ যাত্রী জিম্মি সশস্ত্র গোষ্ঠির হাতে

পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, ৪০০ যাত্রী জিম্মি সশস্ত্র গোষ্ঠির হাতে

ছবি সংগৃহীত
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি বেলুচ লিবারেশন আর্মি অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করেছে  প্রায় ৪০০ যাত্রীসহ ট্রেন জাফর এক্সপ্রেস। ট্রেন যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে। ট্রেনে থাকা ৬ সেনাদসদস্যকে হত্যা করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠিটি।
ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ছিনতাই হয়েছে। বেলুচিস্থানের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করে জানান বালূচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠি এই ছিনতাই করেছে। দুর্গম পার্বত্য  এলাকায় এই ছিনতাই হয়েছে। ফলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা কিছুটা দুষ্কর। তারা ট্রেনের ১২০ যাত্রীকে জিম্মি করেছে।দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন বেলুচিস্তান গঠনের দাবিতে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে পাক সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বেঁধেছে। বিস্ফোরণ-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ট্রেন হাইজ্যাকের মতো ঘটনা এই প্রথম।  ট্রেনটির ৯টি বগিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী রয়েছে। পাকিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিমে বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শহর পেশোয়ার যাচ্ছিল ট্রেনটি।  বিস্ফোরণ ঘটিয়ে  রেললাইনই উড়িয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে গেলে সেটির দখল নেন  লিবারেশন আর্মির জঙ্গিরা।

বেলুচ লিবারেশন আর্মির তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে পাক সেনাবাহিনী যদি কোনও সামরিক অভিযান চালায় তাহলে ট্রেনে থাকা ৪০০ জিম্মিকে হত্যা করা হবে। প্রাথমিকভাবে বিএলএ-র তরফে বেলুচিস্তান প্রদেশে পাক বিমানবাহিনীর হানা ও সেনা অভিযান বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে।

সামা টিভি জানায, সিবি ও বোলান সীমান্তে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে।

বেলুচ লিবারেশন আর্মি ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছে যে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা রেলপথ উপড়ে ফেলে। এতে ট্রেনটি সেখানে থামতে বাধ্য হয়। ট্রেনের সব যাত্রী জিম্মি বলে বিবৃতিতে বলা হয়। কোন সামরিক অভিযান হলে জিম্মিদের সবাইকে হত্যা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, যাদের জিম্মি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক কর্তা, পুলিশ, সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী এবং ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর সক্রিয় কর্মীরা। এঁরা সবাই ছুটি কাটাতে পঞ্জাব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরছিলেন ওই ট্রেনে। তার সুযোগ নিয়েই ট্রেনে হামলা করে সন্ত্রাসবাদীরা। তবে তারা মহিলা, শিশু এবং স্থানীয় যাত্রীদের ছেড়ে দিয়েছে।