বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পাকিস্তানে নিরুদ্দেশ একাধিক মন্ত্রী। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকে ৫০ জনের বেশি ফেডারেল ও প্রাদেশিক মন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। এই মন্ত্রীদের মধ্যে ২৫ জন ফেডারেল এবং প্রাদেশিক উপদেষ্টা এবং বিশেষ সহকারী। বাকিদের মধ্যে ৪ জন প্রতিমন্ত্রী, ৪ জন উপদেষ্টা এবং ১৯ জন বিশেষ সহকারী।
ইসলামাবাদে আহূত সমাবেশ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন ইমরান খান এমন জল্পনা-কল্পনা চলছে গোটা দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অফিসের ইউটিউব পেজের নাম পরিবর্তন করে ইমরান খানের নামে করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের বেশ কিছু সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে চলে গেছেন। তার ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার সময়ের অপেক্ষা।
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দলগুলি ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে। ৩৪২ সদস্যের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে জিততে ইমরান খান সরকারের কমপক্ষে ১৭২ সদস্যর সমর্থন প্রয়োজন। ইমরানের নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইর সদস্য ১৫৫ জন। অন্য দলের ১৭ জন সদস্যের সমর্থনে সরকার চালাচ্ছিলেন তিনি। যদিও সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
ইমরান খানকে সরাতে চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে বিরোধীরা। সোমবার বিকেল পর্যন্ত অনাস্থা নিয়ে মুলতুবি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করে, অনুগামীদের ইসলামাবাদ প্যারেড গ্রাউন্ডে আসার আবেদন জানিয়েছেন ইমরান খান। ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ সেই অভিযোগেই ইমরানের সরকারকে অনাস্থা প্রস্তাবে হারাতে চায় বিরোধীরা৷ এই নিয়ে রীতিমতো চাপে পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক৷