Home Second Lead পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত

পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত

*সক্ষমতা ১৩২০ মেগা., উৎপাদিত হচ্ছে ৫৫০ মেগা.
*সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সর্বোচ্চ নজরদারিতে: নসরুল হামিদ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

পটুয়াখালী: দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পটুয়াখালীর পায়রার উৎপাদন ক্ষমতার ৪০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ নিয়েও। কেন্দ্রের চারটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসার আগে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ না হলে বছরে লোকসান গুনতে হবে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট গেল বছরের মে মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। সমপরিমাণ ক্ষমতার আরেকটি ইউনিট গেল বছরের ডিসেম্বরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে। কিন্তু উৎপাদিত বিদ্যুৎ ঢাকায় আনার জন্য সঞ্চালন লাইন নেই বলে তা সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে পায়রার দুই ইউনিটের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে উৎপাদিত হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ইউনিট হবে মোট চারটি। উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট। বাকি দুই ইউনিটের নির্মাণকাজ চলছে। তা চলতি বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খচিয়াং শিগগিরই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

পায়রা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা জানান, বাকি দুই ইউনিটের নির্মাণকাজ সময়মতোই শেষ হবে। কিন্তু সঞ্চালন লাইনের কাজ আদৌ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে একটা শঙ্কা রয়েছে। এর আগে পায়রায় প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরুর কার্যক্রম পিছিয়ে সঞ্চালন লাইনের অভাবে পিছিয়ে গিয়েছিল।

জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক পিজিসিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম খান বলেন, সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি। তাই আগের বিষয়ে বলা সম্ভব নয়। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিষয়ে জানান, সময়মতো সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে না পারায় দেশের এত বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। এর জন্য আর্থিক ক্ষতি হবে, এটা সত্য। এর আগে যারা পিজিসিবির দায়িত্বে ছিলেন, বিলম্বরের জন্য তারাই দায়ী। সঞ্চালন লাইন নির্মাণের বিষয়টি এখন সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে, যাতে চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)। এর ব্যয় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। দুই প্রতিষ্ঠানের হিস্যা সমান, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ করে।