নতুন গন্তব্যে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন যে প্রবাসী কর্মী ফেরতের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক নয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উপলক্ষে শুক্রবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি জানান, এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। ‘আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধান কর্মী নিয়োগকারী দেশসমূহের শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে অনেক বিদেশি কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু আশার কথা হলো- এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেনি।’
ইমরান আহমদ বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের একটি অংশ দেশে ফেরত এসেছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছে। তাদের অনেকে কাজের মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফেরত এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক শ্রমবাজার আজ প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন এবং এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরেও আমরা আশাবাদী। অর্থনৈতিক মন্দার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কর্মী নিয়োগকারী দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবশ্যই কর্মী প্রয়োজন হবে এবং শ্রমবাজার আবার স্বাভাবিক হবে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ হলো ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিগত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।
তিনি আরও জানান, ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ৪১.৩৩ শতাংশ।
মন্ত্রী জানান, বাজার গবেষণা এবং বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির উদ্যোগে বিভিন্ন নতুন গন্তব্যে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়েছে। তন্মধ্যে কম্বোডিয়া, সেশেলস, উজবেকিস্তান, বসনিয়া ও হারজেগোভিনা, চীন অন্যতম। পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়ায় কর্মী প্রেরনের জন্য সম্ভাবনাময় ট্রেড যেমন- ইমারত নির্মাণ, হসপিটালিটি/কেয়ারগিভার, কৃষি ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়েছে।