বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: শিশুসন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন শাপলা খাতুন। সেই সঙ্গে নিয়ে গেছেন সোনাদানাসহ নগদ টাকা। সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। কাজের তাগিদে শাহিন মিয়া বাইরে থাকার সুযোগে তার আপন ভাগ্নে ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আরাফাত প্রামাণিক প্রায়ই বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। এ সুবাদে মামি শাপলা বেগমের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ভাগ্নে আরাফাত। ৮ এপ্রিল শাপলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নে আরাফাতের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন মামী। ।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। কেউ গান গাইছেন, কেউ আবার ঘটনার নৈতিক দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাপলা বেগমের স্বামী হারুন অর রশিদ শাহিন জানান, ‘ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। এ সুযোগে ঘরে থাকা গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে শাপলা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ অন্যদিকে অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার বাবা রেজা প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার নিজ স্বামীর ভাগ্নের সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন—এমন ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি।’
গাইবান্ধা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস ছালাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আমার মক্কেল হারুন অর রশিদ তার স্ত্রী শাপলা বেগমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে পালানোয় কথা উল্লেখ রয়েছে।