বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাতে ঢাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, র্যাব তাকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ফারুক খান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। শিল্পপতি, সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান আজিজ খানের ভাই তিনি।
সুমন ইসলাম (২৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বের সকালে তার মা মোছা. কাজলী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৩৮৮ জনকে আসামি করে সাভারের আশুলিয়া থানায় ওই মামলা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পলায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মাদরাসাছাত্র সুমন ইসলাম। নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার আমিননগর শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের সামনে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন মাদরাসার শিক্ষার্থী সুমন ইসলাম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাবিবকে ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট দুপুরে মারা যান তিনি।
১৯৫১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক খান। সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান।