বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
গ্রিন কার্ডের জন্য মার্কিন সরকারের কাছে আবেদন করার পরে বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল পেশ করে বলা হয়েছে, যাঁরা গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরা বাড়তি ফি দিলেই আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাবেন।
আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের জুডিশিয়ারি কমিটি থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, যাঁরা দু’বছরেরও বেশি আগে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরা পাঁচ হাজার ডলার বাড়তি ফি দিলে এদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ যাঁরা গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন, তাঁরা বেশি ফি জমা দিলে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পেতে পারেন।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনও পরিবার যদি আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বাস করতে চায় এবং কোনও মার্কিন নাগরিক তাঁদের স্পনসর করে, তাহলে আড়াই হাজার ডলার ফি দিলেই চলবে। তবে ওই পরিবার যদি আগে থেকেই আমেরিকায় বসবাস করে, তাহলে ফি বাবদ ১৫০০ ডলার দিতে হবে।
ওই প্রস্তাব আইনে পরিণত হওয়ার আগে তা জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাশ হতে হবে। তারপর প্রস্তাব পাশ হবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে। শেষে প্রেসিডেন্ট তাতে সই করবেন।
সিবিএস নিউজের খবর অনুযায়ী যদি ওই প্রস্তাব আইনে পরিণত হয়, তাহলে নথি ছাড়া যাঁরা আমেরিকায় বসবাস করছেন, তাঁরাও স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাঁরা শৈশবে আমেরিকায় এসেছিলেন, যাঁরা টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস পান অথবা অতিমহামারীর সময় অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যে কর্মীরা আমেরিকায় এসেছেন, তাঁরাও ওই দেশে থাকার স্থায়ীভাবে থাকার অধিকার পেতে পারেন।
অভিবাসন নীতি বিশেষজ্ঞ ডেভিড জে বিয়ার বলেন, “যাঁরা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন জানিয়ে দু’বছরের বেশি অপেক্ষা করছেন, তাঁদের ব্যাপারটা আলাদা করে বিবেচনা করা যেতেই পারে।” তাঁর মতে, নতুন বিল আইনে পরিণত হলে বিদেশ থেকে যাঁরা আইনি পথে আমেরিকায় আসতে চান, তাঁদের সামান্যই সুবিধা হবে। কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় আছেন, তাঁদের সুবিধা হবে বেশি।