বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ: ঘাটে ফেরি নেই। শনিবার (৮ মে) বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ দিনের বেলায় সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
তবুও বাড়ি ফেরার আশায় বুক বেঁধে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ।
এ চিত্র মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথের।
রবিবার (৯ মে) সকাল থেকে শিমুলিয়ায় ঘাটে পারাপারে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজারো যাত্রী।
ভোররাত থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হয়েছেন। সকাল থেকে কোনো না কোনো ফেরি ছাড়ার অপেক্ষায় থাকলেও এখনো কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি। ঘাটে বিজিবির টহল থাকলেও তা উপেক্ষা করেই ঘাটে জড়ো হয়েছেন যাত্রীরা।
এ ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটে মালবাহী গাড়ির লম্বা সারি রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় আছে প্রায় ৩৫০টি যানবাহন।
সকালে শিমুলিয়া ৩ নম্বর ঘাট এলাকায় দেখা যায়, কয়েক হাজার যাত্রী ফেরির জন্য পন্টুনে অপেক্ষা করছেন। এ সময় যাত্রীরা নদীতে ফেরি দেখে ডাকতে শুরু করেন। সকাল সোয়া নয়টার দিকে মাদারীপুর ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ঘাটের কাছাকাছি এলে ঘাটে পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় দেখে সেটি মাঝনদীতে অবস্থান নেয়। পরে শাহপরান ফেরিতে যাত্রী ওঠালে কুঞ্জলতা ফেরি দুই নম্বর ঘাটে ভেড়ানো হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন বলেন, ভোররাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ। তবে সকালে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ছোট ফেরি এ ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স জড়ো হওয়ায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফেরি শাহপরান ছেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিসেবা কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মতো উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন নারীর টানে ছুটছেন, কোনো বাধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিষেবায় ২-৩টি ফেরি চলাচল করছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখো না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে, তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও কাজ করছে।