বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির আয়োজনে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ মার্চ শুরু হওয়া বইমেলা চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮মার্চ ) বিকেল ৪টার দিকে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদ ‘নিউ চায়না-১৯৫২’ এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর ইংরেজি অনুবাদ ‘নিউ চায়না-১৯৫২’ এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনোনীতদের মাঝে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২০ হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় নতুন প্রজন্মের কাছে বই পড়াকে জনপ্রিয় করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রকাশকদের অনুবাদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। এ ছাড়া করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেন।
একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তৃতা রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
প্রতি বছর ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার বিলম্ব হয়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২১ এর মূল থিম ‘বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী’।
এবার বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিটসহ মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। এ ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি ৫টি উন্মুক্ত স্টলসহ ১৪০টি স্টল দেওয়া হয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার প্রথমদিকে শিশু প্রহর থাকছে না এবার। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে।
এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব পাশে নতুন একটি প্রবেশ পথ করা হয়েছে। প্রকাশকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রমনা প্রান্তে একটি প্রবেশ পথ ও পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা। যার ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে অতিথিরা প্রবেশ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি প্রবেশ পথ ও ৩টি বাহির হওয়ার পথ থাকছে।
ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা চলবে বইমেলা। করোনার কথা বিবেচনায় রেখে এবার মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না বইমেলায়।