বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দেশের মোট জমির মধ্যে ২৬ শতাংশ জমিই উপকূলে, এসব জমিতে বন্যা, খরা, লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
শনিবার (১৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএডিসি কৃষিবিদ সমিতির সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পড়ে থাকা জমি চাষ উপযোগী করতে ৪৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কারে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের মোট জমির মধ্যে ২৬ শতাংশ জমিই উপকূলে। এসব জমিতে বন্যা, খরা, লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করুন।
এসময় সাধারণ সভায় বিএডিসি’র কার্যক্রম ও কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধার হয়।
সভায় বলা হয়, ১৯৬২-৬৩ সালে ১৩ দশমিক ৮ মেট্রিক টন বীজ সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে ২০১৯-২০ বর্ষে বীজ সরবরাহ ১ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়। ২০৩০ সালে বছরে ২ লাখ ৫ হাজার টন বীজ উৎপাদন করার লক্ষ্য রয়েছে তাদের। আউশ, আমন, বোরো, গম,ভুট্টা, পাট, ডাল, তেল, সবজি ও মসলা, আলু বীজসহ মোট ৩৪ টি ভিত্তিবীজ খামারে উৎপাদন করে বিএডিএস।
উৎপাদিত বীজ ১০০ টি বিক্রয় কেন্দ্র ও ৮হাজার ১৭১ জন ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে বিতরণ করা হয়। বেশ কয়েকটি জাত উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া, বিলুপ্ত প্রজাতির ১৪৬ ধরনের ফলগাছের মধ্যে ৮৬ ধরনের জাত সংরক্ষণ করেছে। ২০১৮ সালে বিএডিসি গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে। এরইমধ্যে ৬টি ফল এবং সরিষার ১ টি জাত নিবন্ধন করেছে। এ বছর ১০ টি আলুর জাত বিএডিসি’র নামে নিবন্ধন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ২০১৪-১৫ বর্ষ থেকে ভুটানে সূর্যমুখি ও ধানবীজ রপ্তানি করছে বিএডিসি।
তবে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা মনে করেন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যারমধ্যে লোকবল বাড়ানো অন্যতম। পাশাপাশি বিএডিসি’র কর্মকর্তা কর্মচারিদের পেনশন চালু, ভিত্তিবীজ উৎপাদন খামার বাড়ানো, বীজের গুণগত মান নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।