Home Third Lead কুমিল্লায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

পিতৃহত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ এডভোকেট নাসেরের

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

কুমিল্লা: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহীদ উল্লাহ খুন হন আাজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে ১৯৯১ সালের ২১ মে। তখন তার ছেলে আবু নাসের ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তখন মায়ের অনুপ্রেরণায় প্রতিজ্ঞা করেন পড়ালেখা করে আইনজীবী হয়ে তার পিতার হত্যার বিচার নিশ্চিত করবেন। তিনি আইনজীবী হয়েছেন। সোমবার রায় হয়েছে শহীদ উল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার।  মামলায় সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে আবু নাসেরও যুক্ত ছিলেন।

মামলার রায়ে পাঁচজনকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দিয়েছেন।

মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এডভোকেট মো. আবু নাসের বলেন, আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় পিতার খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনজীবী হয়েছি। ২৫ বছর পর হলেও একজন সন্তান হিসেবে আমি আমার পিতা হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি, এটা আমার অনেক বড় পাওয়া।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউছুফ, বনি আমীন, ইউছুফের ভাতিজা সোলায়মান, ইউছুফের শ্যালক আবদুল হক এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইউসুফের বড় বোন রজ্জবী বিবি। রায় ঘোষণাকালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকীরা মামলার দায় হইতে অব্যাহতি পায়। এর মধ্যে তিন আসামির মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু হয়।

মামলার বিবরনে জানা যায়, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ২১ মে দিনের বেলায় আসামিদের সঙ্গে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. শহীদ উল্লাহর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা শহীদ উল্লাহকে বরুড়া পরানপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহতের ছোটভাই বরুড়া বিজরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ আমান উল্লা বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ২২ মে একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ইউসুফসহ ১৫ জনকে আসামি করে বরুড়া থানায়  হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।