সরকার দেশে-বিদেশে পাটজাত পণ্যের চাহিদা ও বাজার তৈরি করতে পাটজাতপণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন বহুমুখী পাটজাত পণ্যের নামসহ একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
পাটখাত উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের নানামুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের এই সকল কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশের রপ্তানী বানিজ্যে পাটখাত চামড়া থাতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই খাতের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করতে ‘ পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, পাট আইন, জাতীয় পাটনীতি প্রনয়ন করা হয়েছে।
এ সকল আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার ( জেডিপিসি)’র মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭শ’ উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করেছেন, যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাসহ দেশে বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
সূত্র: বাসস