Home Second Lead  বাংলাদেশে জাপানের ক্লাসএনকে’র প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পেলো পিএইচপি শিপব্রেকিং

 বাংলাদেশে জাপানের ক্লাসএনকে’র প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পেলো পিএইচপি শিপব্রেকিং

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: পিএইচপি শিপব্রেকিং এ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এবার গ্রিন সার্টিফিকেট পেলো জাপানের আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইট থেকে। সেখানকার ক্লাসএনকে তাদেরকে এই সার্টিফিকেট দিল।

হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সুরক্ষামূলক শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি হল পিএইচপি শিপব্রেকিং

এ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ।

প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটি হংকং কনভেনশনের যাবতীয় শর্ত পূরণ করে তৈরি। ২০১৮ সালে এটা গ্রিন সার্টিফিকেট পায় ইতালিয়ান ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি রিনা-র কাছে থেকে। বাংলাদেশের কোন জাহাজভাঙা শিল্প প্রথমবারের মত রিনার সার্টিফিকেট পায় পরিবেশবান্ধব শিল্প হিসেবে। এরপর এখন অনুরূপ সার্টিফিকেট পেলো ক্লাসএনকে থেকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজ। আন্তর্জাতিক গ্রিন সার্টিফিকেট দেয় ভারত, জাপান ও ইতালির তিনটি প্রতিষ্ঠান।

ক্লাসএনকে বিশ্বের ৩৪টি জাহাজভাঙা শিল্পকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে সার্টিফাই করেছে। আর বাংলাদেশে তাদের প্রথম সার্টিফিকেশন পেলো পিএইচপি পরিবারের শিপব্রেকিং এ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ। সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল ভেরিফিকেশনের ভিত্তিতে স্টেটমেন্ট অব কমপ্লায়েন্স ইস্যু করেছে এই সোসাইটি।

এনজিও শিপব্রেকিং প্লাটফরম-এর মতে বিশ্বের ৯৮ ভাগ জাহাজ ভাঙা হয় ৫টি দেশে। এগুলো হল বাংলাদেশ,চিন, ভারত, তার্কি এবং পাকিস্তান। ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ১২২ টি জাহাজ রিসাইক্লিং হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭৩টি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। এসময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে প্রাণহানি হয়েছে ১১ জনের। গুরুতর আহত হয়েছে ২১ জন।

বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে এ শিল্প ক্রমেই পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গ্রেডিং তালিকায় লাল ক্যাটাগরি থেকে কমলা ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। হংকং কনভেনশন অনুসারে উদ্যোক্তারা কমপ্লায়েন্ট হলে, উদীয়মান এ শিল্প খাত জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে

বঙ্গোপসাগরের সীতাকুণ্ড উপকূলে গড়ে ওঠেছে জাহাজভাঙা শিল্প।