বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশে একদিনে বাজ পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক। তদের বেশির ভাগ কাজ করছিলেন মাঠে।
কমপক্ষে ৮৩ জন মারা গেছেন বিহারে এবং উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মাঠে চাষের কাজ করছিলেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এমনটা যে একেবারেই নতুন তা নয়। সংখ্যায় এত জনের মৃত্যু হওয়াটা বিরল হলেও, গত বছর বিহারে বাজ পড়ে একদিনে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছরই কয়েক দিন আগে-পরে বিহারেই বজ্রাপাতে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তবে, ২০১৬ সালের জুন মাসে এ রাজ্যে বাজ পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। সেই আতঙ্কের স্মৃতিই যেন ফিরে এল।
প্রতি বছরই বাজ পড়ে এমনই কয়েকশো মানুষ মারা যান ভারতের নানা রাজ্যে। পড়শি দেশ ওড়িশাতেও এই সমস্যা ছিল। কিন্তু সে রাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় আগাম সতর্কবার্তার সিস্টেম শুরু করে বজ্রপাতে মৃত্যু ৩১ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই যে এলাকায় বাজ পড়তে পারে, সেখানকার বাসিন্দাদের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে। বাজানো হচ্ছে সাইরেন। খোলা জায়গা থেকে সরে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।
বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা হয় বাংলাদেশেও। ১০ লক্ষ তালগাছ লাগিয়েছে বাজ পড়া আটকাতে।
থাইল্যান্ডও তালগাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু কমিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বজ্রপাত সাধারণত উঁচু কোনও কিছুতে আছড়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে তালগাছ ভাল বিকল্প। বাজ পড়ে গাছ জ্বলে গেলেও, মানুষ বেঁচে যান আশপাশে।