Home First Lead বাজার: লাভবান মধ্যস্বত্বভোগীরা, বিপাকে ক্রেতারা

বাজার: লাভবান মধ্যস্বত্বভোগীরা, বিপাকে ক্রেতারা


বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম: সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর বাজারে বেড়েছে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজিই।


সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১১ জুন) নগরীর বন্দরটিলা ও ষ্টীল-মিল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিকেজি পটল, শসা, ঢেড়শ, ঝিঙে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর ৮০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা ও আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মসুর ডাল (ছোট) ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতি কেজি খেসারির ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সদ্য ঘোষিত বাজেটে আমদানি করা পণ্যের উপর কোনো করারোপ করা হয়নি। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমবে এমটাই প্রত্যাশা ছিল।


বিক্রেতারা বলছেন, সবজি উৎপাদন ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা কম দামে সবজি বিক্রি করলেও লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা, আর বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
ষ্টীল মিল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো: জাভেদ বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন,  প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সবজির দাম একটু বাড়তি থাকে। সবজির সরবরাহও কম। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে।


এছাড়া প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা ৫৫০ টাকা, রুই ৩৩০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া (ছোট) ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া (বড়) ১৯০ টাকা, বড় চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা ৭০০ টাকা ও ইলিশ মাছ ১৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।


বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা ও সোনালী মুরগি ২১০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিদরে।