চাহিদা মেটাতে আগামী রমজান মাসের আগে আরও ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দাম কমাতে চিনি ও ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদেরা শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি এবং মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানান। বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী ৩১ মার্চের আগে চার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এরমধ্যে সিটি গ্রুপ আমদানি করবে ৫০ হাজার টন, মেঘনা গ্রুপ ৫০ হাজার টন, এস আলম গ্রুপ ৫০ হাজার টন এবং রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সাধ্যমতো পেঁয়াজ আমদানি করবে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সহায়তা দিবে সরকার।
ইফতার তৈরিতে ব্যবহার হয় এমন সব ভোগ্যপণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেল, ছোলা, আদা, রসুন ও খেজুরসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি করে মজুদ বাড়ানো হবে। কোনভাবেই যাতে এবারের রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম না বৃদ্ধি পায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে সরকার। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিগত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। আগামী রমজানে ন্যায্যমূল্যে পণ্যের যোগান দিতে আগেভাগে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ কারণে বিভিন্নখাতের ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যাতেও ক্ষতিগ্রস্ত না হউন, সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের সেবার মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়েই উপকৃত হবেন।