বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
একটু বয়স বাড়লেই এখন ঘরে ঘরে বাতের ব্যথার সমস্যা যেন স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। বাতের ব্যথা এমন এক ধরনের কষ্ট যা মানুষকে বলে বোঝানো যায় না। এছাড়াও বাড়ির সদস্যরা যদি এই ধরনের যন্ত্রণায় কষ্ট পান তাহলে অন্যান্য সদস্যদের মন খারাপ হতে বাধ্য। বাত ব্যথার অনেক ধরণ রয়েছে, যার জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা। কারণ বিভিন্ন ধরনের বাতের চিকিৎসার এক এক রকম হয়ে থাকে। বাত একটি প্রগ্রেসিভ প্রক্রিয়া যা ভুক্তভোগীর শরীরের মধ্যে চলতে থাকে।
তাই সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না হলে পরবর্তীকালে আরও জটিলতা বাড়তে পারে। ওষুধের পাশাপাশি ফিজিক্যাল থেরাপিরও প্রয়োজন পড়ে। আসলে যে কোনো রোগের ক্ষেত্রেই সচেতনতা মূল কথা। তবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে এই বাতের ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও উপশম পেতে পারেন। এছাড়াও বাতের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় লাইফ স্টাইলের দিকে একটু জোর দেওয়া প্রয়োজন।
•যদি ওজন বেশি থাকে তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এড়িয়ে যেতে হবে অত্যাধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, কলিজা, সিমের বীজ, মাংস, বড় মাছ প্রভৃতি।
•বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে মদ্যপানের অভ্যাস একেবারেই এড়িয়ে চলা ভালো।
•এক সুইডিস গবেষণা অনুযায়ী, ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড কিংবা প্যাকেটজাত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। তার পরিবর্তে খেতে হবে ফল, অলিভ তেলের রান্না করা খাবার, টাটকা সবজি, ছোট মাছ। এগুলি বাত হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
•এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাতের ব্যথায় নিজের ছোট ছোট কাজগুলি নিজেরই করে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে হাত-পা সচল থাকে এবং হালকা ব্যয়াম হয়ে যায়। নিজের বাসন নিজেই ধুয়ে নিন। আরো আরো ভালো হবে যদি এক্ষেত্রে আপনি গরম জল ব্যবহার করেন। তাহলে হাতের জড়তা অনেকটা কেটে যাবে।
•বাতের ব্যথা কমানোর অন্যতম একটি উপায় হল সাঁতার কাটা। তাইওয়ানের একটি গবেষণা অনুযায়ী, শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, হাঁটু ও নিতম্বের জোর বাড়াতে সাঁতার বেশ কার্যকরী।
•বাতের ব্যথা কমাতে খাবারের তালিকায় রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। এই ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা হাড় মজবুত রাখে। পাশাপাশি অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউম্যাটওয়েড আর্থারাইটিস কমাতে বাদাম খুব ভালো কাজ দেয়।
•বাতের ব্যথায় মোক্ষম দাওয়াই হলো খালি পায়ে হাঁটা। শিকাগোর রাস ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অস্টিওআর্থারাইটিসে ভোগেন প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ। এই ধরনের পেশির ব্যথা কমাতে প্রায় ১২ শতাংশ কাজ দেয় শুধুমাত্র খালি পায়ে হাঁটলে। যদি খালি পায়ে হাঁটতে খুব সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে পায়ের মাপ অনুযায়ী জুতো ব্যবহার করতে পারেন।