Home Second Lead বাড়ছে প্রগতির গাড়ি সংযোজন সক্ষমতা

বাড়ছে প্রগতির গাড়ি সংযোজন সক্ষমতা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: দেশে গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কারখানা প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সংযোজন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছ।

এ লক্ষ্যে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় সংযোজন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জীপ, পিকআপ, সেডান কার, বাস-মিনিবাস, ট্রাক-মিনিট্রাক সংযোজনের ৪টি লাইন থাকবে।

বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন ( বিএসইসি ) এর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রগতি।

অর্ধ শতাব্দী ধরে  গাড়ি সংযোজন করলেও এখন পর্যন্ত এখানে সংযোজিত যন্ত্রাংশের শতভাগই আমদানিনির্ভর। গাড়ি সংযোজনের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি।

 বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, সংযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য  দক্ষিণ আফ্রিকার অটোমেটিক ইনভেস্টমেন্ট হোল্ডিংস (এআইএইচ) কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ইনসেপশন অফ কমার্সিয়াল স্টাডি রিপোর্ট্ দিয়েছে।

আধুনিক পেইন্ট সপ, প্রেস সপ, বডি সপ, মেশিন সপ, এসেম্বলি ও সাব এসেম্বলি লাইন, চেসিস লাইন, ট্রিম লাইন, ফাইনাল লাইন, কিউসি সহ প্ল্যান্টের লে আউট প্ল্যান, ডিটেইলস ড্রইং, ডিজাইন প্রাক্কলন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা সমেত একটি পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। প্রতিবেদন সময় মত দিতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিবেদন দেয়ার সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে তা জানার জন্য প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন করা হলে বুধবার তিনি তা রিজেক্ট করেন। এরপর ম্যাজেজ দিয়ে প্রতিবেদকের পরিচয় জানানো হয়। বৃহস্পতিবার আবার ফোন করা হলে পরে তা তিনি জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকল্পের লে আউট প্ল্যান, ডিটেইল ড্রইং ও ডিজাইন, ব্যয় প্রাক্কলন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি করে  সরকারের কাছে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ডিপিটি  পেশ করা হবে। আর তা বাস্তবায়িত হলে প্রগতিতে  বিশ্বমান অনুযায়ী গাড়ি উৎপাদন সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে গাড়ি উৎপাদনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জিত হবে।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জেনারেল মোটরস-এর কারিগরী সহযোগিতায় বাড়বকুন্ডে গাড়ী উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয় গান্ধারা ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.। ১৯৭২ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ (পিআইএল) নামে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি)এর নিয়ন্ত্রণে দেয়া হয়।

জাপানের মিৎসুবিসি মোটরস করপোরেশনের পাজেরো স্পোর্ট(কিউএক্স) জীপ, চীনের ফোর্ডে অটোমোবাইলস কোং লিঃ এর ল্যান্ডফোর্ট এসইউভি জীপ এর সিকেডি আমদানী ও সংযোজন পূর্বক স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করছে। তাছাড়া,মিৎসুবিসি এল-২০০ ডাবল কেবিন পিকআপ,টয়োটা এ্যাম্বুলেন্স,মাইক্রোবাস ইত্যাদি সিবিইউ( কমপ্লিট নক ডাউন ) অবস্থায় আমদানি করে বাজারজাত করছে।