মঙ্গলবার সকাল আটটায় কচুয়া উপজেলার সিংড্ডা গ্রামে জানাজার পর দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজার পূর্বে তাকে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে এসে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
সীতাকুণ্ডের ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে লিডার ইমরান হোসেন মজুমদার অগ্নি বিস্ফোরণে মৃত্যুবরণ করেন। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করতে না পারায় সোমবার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এরপর রাতেই মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর জসীমউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে এমরান হোসেন মজুমদারের মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং যেকোনো প্রয়োজনে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস তাদের পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেছি।
উল্লেখ্য, ইমরান মজুমদার বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ২০০১ সালে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়ায় ইউনিয়নের সিংড্ডা গ্রামের মরহুম মকবুল হোসেনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান রেখে গেছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।