বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ )’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’গোষ্ঠি পরস্পরকে ঘায়েল করতে সমানে তৎপর। ৩ জনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি তোলা হয়েছে।
শনিবার ( ১৩ মার্চ ) আপিল বোর্ডের কাছে আপত্তি জানানোর শেষদিন।
আপিল বোর্ড ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, শাহেদ সরওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠির প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বার্ডস বাংলাদেশ এজেন্সিজের ম্যানেজার সৈয়দ মাহমুদুল এহসান।
আবদুল্লাহ জহির পিআইএল ( বাংলাদেশ ) এর জেনারেল ম্যানেজার। তিনি বিএসএএ নির্বাচনে পরিচালক পদপ্রার্থী। প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়েছে যে তিনি কোম্পানি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, কিন্তু তা বিএসএএ কে অবহিত না করে গোপন রেখেছেন। পরিচালক হিসেবে প্রার্থী হওয়ার জন্য তা গোপন করা হয়েছে। তা ভোটারদের সাথে প্রতারণার শামিল।
তাছাড়া, পদত্যাগের সাথে সাথে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। বিএসএএ’র ধারা অনুসারে পদত্যাগের সাথে সাথে তিনি ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন আবেদনকারি।
এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ জহির-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান যে নির্বাচন কমিশনে কোন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে পদত্যাগের দু’দিনের মাথায় কোম্পানি তা অগ্রাহ্য করে প্রত্যুত্তর দিয়েছে। তিনি যথারীতি কর্মরত রয়েছেন। নিশ্চিত পরাজয়ের আশংকা থেকে বেসামাল প্রতিপক্ষ গোষ্ঠির ইন্ধনে নির্বাচন কমিশনের কাছে কেউ হয়তো এই অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে, সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের দু’ জনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। তারা হলেন অর্ডিনারি ক্যাটেগরির এস এম মাহবুবুর রহমান ( বিএস কার্গো লি. )এবং এসোসিয়েট ক্যাটেগরির খায়রুল আলম সুজন ( ই এ এস লিমিটেড )। মনোনয়ন পত্রে তাদের প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষরের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দু’জনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সম্মিলিত পরিষদের এক নেতা বিজনেসটুডে২৪ কে বলেছেন যে এগুলো একেবারে ভিত্তিহীন, মিথ্যা।