বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: জহুর হকার্স মার্কেটে শীতের কাপড়ের পাশাপাশি কম্বলের বিক্রি বেড়েছে। সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ছাড়াও খুচরা ব্যবসায়ীরা কম্বল কিনছেন।
দোকানগুলোতে ১শ টাকা দর থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দেশি বিদেশি ডাবল ও সিঙ্গেল কম্বল রয়েছে। তবে চীনের কম্বলের চাহিদা বেশি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরের তুলনায় এবার কম্বলের দাম বেশি। এই মার্কেটে ছোট বড় মিলে আনুমানিক ৯৬০টি দোকান রয়েছে। তারমধ্যে ২০ থেকে ২৫টি কম্বলের দোকান।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত তেমন ব্যবসা নেই। প্রতি বছরের শেষ দুই মাস আমাদের কথা বলারও সুযোগ থাকে না। গত সপ্তাহ থেকে শীতের কম্বলের চাহিদা একটু বড়েছে। আমদানিকারকদের কাছ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে আমাদের কম্বল কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া দশ কার্টনের অর্ডার দিয়ে পাচ্ছি দুই কার্টন।
দেখা গেছে, দোকানে দোকানে হরেক ডিজাইনের কম্বল। তবে ক্যাংগারু, ডিসকভারি, সুলতান, কিংস্টার ইত্যাদি কম্বলের চাহিদাই বেশি। দেশি পাতলা কম্বলের দাম প্রকারভেদে দুইশ থেকে ১ হাজার টাকা। এরমধ্যে সিঙ্গেল কম্বলের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ডাবলের দাম এক হাজার টাকা। বিদেশি কম্বলের মধ্যে ক্যাংগারু ২৬শ’ টাকা,পলো কিং ১৮শ’ টাকা, ডিসকভারি ১৩শ’ টাকা, সুলতান ২২শ’ ও কিং স্টার ২২শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মান ভেদে ৭ হাজার টাকা দামের কম্বলও রয়েছে।
লাভলী ফ্যাশনের মালিক হাজী জি ছোবহান সিকদার বিজনেসটুডে২৪ কে জানান, কয়েক দিন ধরে কম্বল বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমরা কেজি ওজনে কম্বলের টাকা পরিশোধ করি। ক্রেতাদের কাছে কেজি দরে বিক্রি করি না। কারণ আমাদের তেমন খুচরা ক্রেতা নেই। পাইকার বেশি। আশা করছি বাকী শীতের দিনগুলোতে ভালো ব্যবসা হবে।
দুই নম্বর গেইট থেকে কম্বল কিনতে আসা এনামুল জানান, আমি মৌসুমী ব্যবসায়ী। এখান থেকে বছর জুডে মাল নিয়ে থাকি। শিশুদের কাপড়ের পাশাপাশি কম্বলের চাহিদা বাড়ার কারণে কম্বল কিনতে আসছি। তবে এ বছর দাম একটু বেশি।
একতা ফ্যাশনের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বছরের মাঝামাঝিতে সেন্টমার্টিনের পর্যটকদের কাছে কম্বল বিক্রি হতো। এ বছর করোনার কারণে তা হয়নি। সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় কম্বলের দামও বেড়েছে। তাছাড় বিভিন্ন এলাকার মার্কেটেও কম্বল পাওয়া যাচ্ছে। যারফলে আগের চাইতেও খুচরা ক্রেতার সংখ্যা কম।
জহুর হকার্স মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হাশেম চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ব্যবসায়ীদে অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতংক বিরাজ করছে সবার মাঝে। লকডাউনে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তুলতে অনেক সময়ও লাগবে।