মন্জুর মোর্শেদ রাজা,জলঢাকা(নীলফামারী):উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন সাদেকুল সিদ্দিক সাদেক। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সদ্য বহিষ্কৃত সাদেক জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। একইসঙ্গে নৌকা প্রতীকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান (মাষ্টার) পেয়েছেন ৩৮৯৪ ভোট।
অপরদিকে গত ২০১৬ সালের নৌকা মার্কার প্রার্থী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় বিদ্রোহী হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৫২৮৪ ভোট পান।
কৈমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নৌকা মার্কার প্রার্থী সাইদুর রহমান (মাষ্টার) বলেন, “গতবারের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু আমাকে হারানোর জন্য বিদ্রোহী হয়েছিল ও আরেক বিদ্রোহীকে সহযোগিতা করেছে ও নির্বাচনের সময় আমার বিভিন্ন নেতাকর্মীকে হুমকি ধামকি ও মারধর পযর্ন্ত করেছে। আরেক বিদ্রোহী সাদেকুল সিদ্দিক সাদেক তার এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের ঢুকতে পর্যন্ত দেয়নি এমনকি তার বাড়ির এলাকা(ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড) টগরার ডাঙ্গা নামক স্থানে আমার কর্মীরা রাস্তার উপরে প্রতীকী নৌকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছিল সেটা পর্যন্ত সাদেকের লোকজন ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছিল। সন্ধ্যার পর আমার কর্মীদের তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যেতে দিত না। টগরারডাঙ্গা মন্দিরের মাঠে পথসভা পযর্ন্ত করতে দেয় নি।আমি দলের নির্দেশনা মেনে নির্বাচন করেছি।কোন প্রকার বিশৃঙ্খলায় যাই নি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মকছুদার রহমান লেলিন বলেন” যারা নৌকার বিরোধীতা করেছে তাদের দলে কোন ঠাঁই হবে না। সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে ও যারা আওয়ামীলীগ করেও নৌকাকে ভোট দেয় নি তারা শুধু নৌকার সাথেই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘র সাথে বেঈমানী করেছে, দলের সাথে বেঈমানী করেছে”।