বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে।
বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) আরও ভূমিকা রাখবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার (৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় মাত্র ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ইন্টিগ্রেটেড ও অটোমেশন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্খা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার অবাস্তব নয়। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি জরুরি। বাজেটে করোনা মহামারী মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, ভ্যাক্সিনেশন ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম জোরদারকরণ, কৃষি, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতি বছর বাড়ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হলো সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায়।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিতে হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি এবং সেভিংস সার্টিফিকেট (সঞ্চয়পত্র) থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সুলভ সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের প্রচেষ্টা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। যথাযথ বিনিয়োগ ও শিল্পোন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। এতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারেন।