Home Second Lead পবিপ্রবিতে দেহাতি পার্বণে নানা অনুষ্ঠান

পবিপ্রবিতে দেহাতি পার্বণে নানা অনুষ্ঠান

পবিপ্রবি
আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি থেকে: পটুয়াখালী    বিজ্ঞান    ও    প্রযুক্তি    বিশ্ববিদ্যালয়ে(পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ২০ তম ব্যাচের(ভাস্বর-২০) উদ্যোগে  আয়োজিত  হয়  দেহাতি  পার্বণ  অনুষ্ঠান। লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে তাই   ৪ মার্চ (১৯ ফাল্গুন)  সারাদিনব্যাপী   বিভিন্ন  কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে  সকাল  ৯টায় আয়োজিত  হয় দেহাতি যাত্রা। দেহাতি  যাত্রাটি   শুরু  হয়  কৃষি অনুষদে। এসময় গ্রামীণ ও লোকসংস্কৃতি বহনকারী  দেহাতী,  লাঙ্গল, কুলা  ইত্যাদিকে তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীরা পরনে পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, ধুতি ও মাথায় গামছা বেঁধে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙ্গা খেলাও। এ খেলায় অংশ নেন  বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।  বেলা ১১ টায় শুরু হয় গ্রাম-বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু। বিকেল ৩ টায় গ্রামীণ বাংলার বিভিন্ন ধরনের খাবারের পসরা বসানো হয় দেহাতি মেলায়। মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় পবিপ্রবির নীল কমল পুকুরের পাড়ে। তবে বিকেল ৩ঃ৩০ টায় সাপ ও লাঠি খেলা আয়োজনের কথা থাকলেও আয়োজকরা অনিবার্য কারণবশত তা আয়োজন করতে পারেনি। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭ টায় নীল কমলের পাড়ে জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বিভিন্ন ধরনের নাচ, গান ও অভিনয় মঞ্চায়ন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে পবিপ্রবির সকল অনুষদের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
দেহাতি পার্বণ অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক ও অনুভূতি  আয়োজকদের থেকে তুলে ধরা হলো-
“দেহাতি পার্বণ” গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক বাহক একটি আয়োজন। শহুরে পরিবেশে থেকে আমরা গ্রাম্য সংস্কৃতি প্রায় ভুলেই গিয়েছি বলা চলে৷ সেইসব গ্রামীণ মেলা ও সংস্কৃতির কিছু অংশ এই আয়োজনে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনার দীর্ঘ বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় যখন থেকে খুলেছে তারপর থেকেই শিক্ষার্থীরা যেনো পড়াশুনা ও পরীক্ষার একঘেয়েমিতার মায়াজালে আটকে রয়েছিলো এবং গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী বা পহেলা ফাল্গুন আমাদের পিঠা উৎসব হওয়ার কথা ছিলো সেটিও করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এসব বিষয় বিবেচনা করেই পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ২০ তম ব্যাচের উদ্যোগে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দেহাতি পার্বণ উপহার দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আশাকরি সকলেই আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন পছন্দ করেছে। যেহেতু এবার প্রথমবার এমন আয়োজন সেই সাথে শুধু কিছু শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে আয়োজন টি করা হয়েছে সেজন্য কিছু ভুলত্রুটি ছিলো। আশাকরি সামনে আরো ভালো ভালো প্রোগ্রাম হবে এবং আমাদের অনুজরা এই দেহাতি পার্বণ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে।