বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: নগরীর দু’নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যান কিছুটা দখলমুক্ত হলেও উদ্ধার হয়নি ফুটপাত। গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় দ্বিতীয় তলায় নির্মিত দোকান এবং নকশা বহির্ভূত এক সারি বসার স্থায়ী আসন ভেঙ্গে দিলেও ফুটপাত উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেনি এখনও। যার ফলে এখনো সাধারণ মানুষদের হাটাচলা করতে হচ্ছে সড়কের উপর দিয়ে।
১৫ আগস্ট বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানিতে নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে উদ্যানটি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।
জানা গেছে, এই উদ্যানে ১৫০ বর্গফুটের দোকান নির্মাণের কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২শ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেও দোকান বসানো হয়েছে। অবৈধভাবে নির্মাণের কথা গোপন রেখে দোকান বিক্রি করা হয়েছে বিভিন্নজনের কাছে। কার্যত জনসাধারণের বিনোদনের সুবিধাকে রুদ্ধ করে বিপ্লব উদ্যানকে বাণিজ্যিক স্থাপনায় পরিণত করার অপপ্রয়াস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিপ্লব উদ্যানের অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট, বসার সিট অপসারণ করা হলেও তিন দিকের ফুটপাত ও পানি চলাচলের নালা জবরদখল থেকে উদ্ধার হয়নি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে চসিকের একজন পরিচ্ছন্নকর্মী বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, দোকানপাট এবং অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙ্গা হয়েছে, তবে ফুটপাতের উপর স্থাপনাগুলো ভাঙ্গার জন্য এখনও বলা হয়নি।
২০১৮ সালের শেষদিকে সিটি কর্পোরেশন তা বন্ধ করে দেয়। জানানো হয় এক বছরের মধ্যে এটা আধুনিকায়ন করা হবে, বিনোদনের হরেক রকম সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে। সিটি কর্পোরেশন বিপ্লব উদ্যান আধুনিকীকরণের প্রকল্পের নাম দিলেন ‘সোল স্কোয়ার।’ প্রাণের স্পন্দন। দায়িত্ব তুলে দেয়া হলো বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর। তাদের সাথে চুক্তি করে।
এদিকে, জবরখল করা ফুটপাত ও নালা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ কমাবেনেএমনটা প্রত্যাশা নগরবাসীর। একই সাথে পূর্বে যে অবস্থায় উদ্যানটি ছিলো সে অবস্থার সত সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য চসিক প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন, বিপ্লব উদ্যানের অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট, বসার সিট অপসারণ করা হয়েছে। তিন দিকের ফুটপাত ও পানি চলাচলের নালা জবরদখল থেকে উদ্ধার করার কার্যক্রমও ক্রমান্বয়ে করা হবে। শুধু তাই নয় নকশা বহির্ভূত যে সকল স্থাপনা রয়েছে সবকিছু অপসারণ করা হবে।