Home First Lead বিপ্লব উদ্যানকে নয়ারূপ দেয়ার নামে নালা-ফুটপাথ দখল

বিপ্লব উদ্যানকে নয়ারূপ দেয়ার নামে নালা-ফুটপাথ দখল

সুযোগ-সুবিধাগুলো চালু হয়নি

নগরীর ষোলশহর দু’নম্বর গেটসহ আশেপাশের এলাকার বিনোদনপ্রেমী মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল এই উদ্যান। তা ছিল সবুজে ভরপুর। বিকেল হলে সেখানে জমে উঠতো নানা বয়সী মানুষের ভিড়। খুব বেশি সুযোগ সুবিধা না থাকলেও যতটুকু ছিল তাতে তেমন অসন্তোষ ছিল না।  ২০১৮ সালের শেষদিকে সিটি কর্পোরেশন এটাকে বন্ধ করে দেয় নতুন আঙ্গিকে চালু করার ঘোষণা দিয়ে। আর এই দায়িত্ব দিয়ে তুলে দেয়া হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে। নতুন প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘সোল স্কোয়ার বা প্রাণের স্পন্দন ।’ এ ব্যাপারে চুক্তি হয় রিফর্ম লি. এবং স্টাইল লিডিং আর্কিটেক্টস লি-এর সাথে। গ্রিন ও ক্লিন সিটি কর্মসুচির অংশ হিসেবে এ দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের পর্যায়ে উদ্যানের ভিতরে থাকা গাছপালা কেটে উপড়ে ফেলে। উন্মুক্ত প্লাজায় পরিণত করার নামে চারিদিকের প্রাচীর অপসারণ করে তিন দিকের নালা এবং ফুটপাথ দখল করে তাও প্রকল্পের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়া হয়। নালা এবং ফুটপাথের ওপর তৈরি করা হয়েছে বসার বেঞ্চ। এতে মানুষের পথচলা বন্ধ হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির পাশাপাশি সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারিদের।

নতুন রূপ দেয়ার জন্যে এখানে যেসব সুবিধা তৈরির কথা সব এক বছরের মধ্যে হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় গত ১৫ ডিসেম্বর বিপ্লব উদ্যান উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ‘বিপ্লব উদ্যান এবং চারপাশের ফুটপাথ এলাকার উন্নয়ন’ হিসেবে উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির।

এটার অবস্থা দেখে মানুষ হতাশ হয়েছে। তারপর মানুষের ভিড় লেগে থাকে এখানে দিনভর। কারণ, এলাকায় আর কোথাও প্রশান্তির জায়গা নেই। এখানে  ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনফরমেশন ক্যাশ মেশিন, কিডস কর্ণার, ফুড কোর্ট, এটিএম প্লাজা, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন, ম্যানেজমেন্ট রুম ইত্যাদি থাকার কথা। এগুলোর কিছু হয়নি। তবে, দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে দোকান লিজ দেয়ার কার্যক্রম। এক একটি দোকান দেয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকায়। এখন প্রস্তুতি চলছে এগুলো চালুর।