আন্তর্জাতিক: কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতা’চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো। সন্ত্রাসবাদ সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর সেই বিরোধ মিটিয়ে সংহতি ও স্থিতিশীলতা চুক্তি স্বাক্ষর হলো। সৌদি আরবের আল-উলা শহরে ৪১তম জিসিসি সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তাতে ছয় সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির ফলে দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সঙ্কটের অবসান ঘটছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ ব্যাপারে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান বলেন, চুক্তিতে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে এসব প্রচেষ্টা। চুক্তিতে মধ্যস্থতার জন্য কুয়েত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।
সোমবার কাতারের বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ তুলে নেয় সৌদি আরব। কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ নাসের আল-সাবাহ সেই তথ্য জানিয়েছিলেন।
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার অল্প সময় পর জিসিসি সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবে আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।
অপরদিকে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কাতারের আমির।
জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময় সৌদি বাদশাহ এবং তার সঙ্গী প্রতিনিধিরা যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কাতারের আমির।
আল-উলা থেকে ফিরে সৌদি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে পাঠানো বার্তায় জিসিসি সম্মেলনে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ এবং সম্মেলন সফল করার প্রয়াসের জন্য প্রশংসা করেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এই সম্মেলনের ইতিবাচক ফলাফলগুলো জিসিসির পদযাত্রাকে শক্তিশালী করবে এবং উপসাগরীয় অঞ্চল যে হুমকির মুখোমুখি হয়েছে, সেসব মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংহতি বাড়িয়ে তুলবে বলে জোর দিয়ে বলেছেন শেখ তামিম।
কাতারের আমির গালফ সামিট শেষে আল-উলা ছেড়ে যান। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
- আল-জাজিরা, সৌদি গেজেট