বিজনেসটুডে ২৪ ডেস্ক
আজ ১৯ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস। প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার এই দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘নিয়মিত ঘুম : স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’।
২০০৮ সালে প্রথমবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালন করে ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিন’ এর ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি। তাদের মূল উদ্দেশ্য ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়ে মানুষকে জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এছাড়া ২২ মিলিয়ন আমেরিকান নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। এছাড়া ছুটির দিনে দুই ঘণ্টা বেশি ঘুমালে দেহঘড়ি (বডি ক্লক) ৪৫ মিনিট বিলম্বিত করে। এর ফলে ছুটির দিনগত রাতে ঘুম কম হয়, এতে পরের দিনের কাজে পরিশ্রান্ত মনে হয়, শরীর ও মন কাজের উপযোগী থাকে না।
এ কারণে সপ্তাহের প্রতি রাতেই আট ঘণ্টা করে ঘুমানোর পরামর্শ দেন গবেষকরা। ছুটির দিন শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়ার জন্য ছয় থেকে আট মিনিট রোদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। কারণ সূর্যের আলো দেহঘড়ি ঠিক রাখে।
গবেষণায় ঘুমের নানা ইতিবাচক দিকের কথা বলা হয়েছে। নিয়মিত ভালো ঘুম হলে পরবর্তী জীবনে দারুণ প্রভাব পড়তে পারে। টেক্সাসের বেয়লর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লিপ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিশন ল্যাবরেটরি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখানো হয়, মধ্যবয়সে ভালো ঘুম ভবিষ্যতের মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ এক পুঁজি হিসেবে কাজ করে। মধ্যবয়স বলতে ত্রিশোর্ধ্ব সময়কে বোঝানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেন, ভালো ঘুমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তির বেশ নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি লোপ পায়, মানসিক দুর্বলতাও তৈরি হয়। তাই শেষ বয়সে অনেকেরই অনিদ্রা সমস্যা দেখা দেয়। মধ্যবয়সে একজন মানুষ নিয়ম মেনে ঘুমালে তার সুফল বৃদ্ধ বয়সেও পেতে পারেন।