মুতাছিন বিল্লাহ, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) থেকে: উপজেলার বেনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে উন্নয়নের অর্থ নয় ছয় করা অভিযোগ করা হয়েছে। তবে, তিনি অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে স্কুল কমিটি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামত স্কুলে কাজ করেন। স্কুল মেরামতের জন্য সরকারি ভাবে কতটাকা করে বরাদ্ধ দেওয়া হয় তিনি এ বিষয়টি কাউকে কিছু বলেন না।উন্নয়ন না করেও তিনি ভাউচার তৈরি করে উন্নয়নের টাকা আত্মসাত করেন।
অভিযোগ ও ম্যনেজিং কমিটির সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২ ১অর্থ বছরে বেনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ৭০হাজার টাকা বরাদ্ধ পেলেও সেখানে কাজ হয়েছে মাত্র ৪০হাজার টাকার। বাকী ৩০হাজার টাকার কোন হিসাব নেই তদন্ত কমিটি হিসাব চাইলেও তিনি সঠিক হিসাব দিতে পারেননি। ওই শিক্ষক অবশেষে নিজে দায় শিকার করে ২৫হাজার টাকার কাজ করে দিবেন বলে জানান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আশাদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন যাবৎ কোন হিসাব ঠিক মত দেন না এবং বিদ্যালয়ের যে সব কাজ করেছেন সেই কাজের সাথে ভাউচারের কোন মিল নেই। এ কারণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হলে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে আসেন এবং বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্কুলের কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য যে টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি, তার সব কাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃকামাল হোসেন বলেন, বেনীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমি এবং ২ জন এটিওকে সাথে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে প্রধান শিক্ষক যে কাজ করেছেন তার কিছু ভাউচার নিয়ে সমস্যা হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির কাউকে না বলে কাজ করায় এ সমস্যা হয়েছে । তবে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। যে টাকা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে সেই টাকা প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে কাজ করে দিবেন।