চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের মত বিনিময়
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এলান এল. ডেনিয়েগা মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকমন্ডলীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে ভারতের দিল্লীস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ইউজিন এলেভাডো , বাংলাদেশ-ফিলিপাইন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম ও চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ ইফতেখার ফয়সাল ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল এম. এ. আউয়াল, রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী ড. র্যাচেল এম. ডেনিয়েগা ও চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের সভাপতি খালেদা আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত এলান এল. ডেনিয়েগা বলেন-ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। উভয়দেশের মধ্যে বিভিন্ন সাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যাবলীর প্রসংগ উল্লেখ করে সম্ভাবনাময় খাতগুলো নিয়ে একসাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ফিলিপাইনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাগণ উপকৃত হবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত উভয়দেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উভয়দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদান এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সভাপতি উভয়দেশ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য পিপল টু পিপল যোগাযোগ বাড়ানোর অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি সরাসরি ফ্লাইট চালু করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের প্রসংগ উল্লেখ করে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে যৌথভাবে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের আহবান জানান।
দিল্লীস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ইউজিন এলেভাডো আগামী দিনগুলোতে উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক কপার তার, বেবী ডায়পার, জাহাজ নির্মাণ, প্যাকেজিং শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টুনা মাছ আহরণকে অপার সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে এসব খাতে যৌথ বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান।
বাংলাদেশ-ফিলিপাইন্স চেম্বার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও একে অপরের মধ্যে স্বল্প পরিচিতি থাকার কারণে বাণিজ্য কাংখিত পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে উল্লেখ করেন। তিনি ফিলিপাইনের আইটি-বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকে আন্তর্জাতিকভাবে সমৃদ্ধ উল্লেখ করে যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ খাতে উপকৃত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া তিনি যৌথ নার্সিং স্কুল স্থাপন, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, বিটুবি মিটিং, বিদ্যমান ট্যারিফ জটিলতা নিরসন ইত্যাদি বিষয় আলোকপাত করেন। চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ফিলিপিনো টেকনিশিয়ান কাজের প্রশংসা করেন এবং ব্লু ইকনোমি ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশী তৈরিপোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। মতবিনিময়ের পূর্বে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি