Home টপ নিউজ ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংকিং খাতে নিট প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  ৬২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে সেপ্টেম্বর শেষে ৫৪ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেছে ব্যাংকগুলো। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৮ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। তবে জুন মাসের তুলনায় ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা ঘাটতি কমেছে। চলতি বছরের জুন শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার এক ২১৯ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে তার বেশির ভাগই আমানতকারীদের অর্থ। এই অর্থ যেন কোনো ধরনের ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা আছে। যার একটি হলো প্রভিশন সংরক্ষণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।

ব্যাংকগুলোর ঋণের ঝুঁকি বিবেচনা করে তার বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বাড়লে ব্যাংকের প্রভিশন রাখার প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। আর প্রভিশন ঘাটতি রেখে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। এক সময় কোনো ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি থাকলে শুধু সতর্ক ও ঘাটতি মেটাতে দিকনির্দেশনা দিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনে কোনো ব্যাংকে টানা দু’বছর ঘাটতি থাকলে তার বড় অঙ্কের জরিমানাসহ লাইসেন্স বাতিলের কথা বলা হয়েছে। এসব কারণে নানা উপায়ে প্রভিশন ঘাটতি মেটাতে হয় ব্যাংকগুলোকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। তিন মাস আগে (জুন শেষে) মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক