বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পিরোজপুর: ২০১৬ সালে তেলীখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়া বিএনপি নেতা মির্জা গোলাম কিবরিয়া রিপনের ভান্ডারিয়ার বাড়িতে ইফতারে অংশ নিয়েছেন মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতারা।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জুনিয়া গ্রামের ইফতার মাহফিলে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন রকম সমালোচনা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে আসা জেপির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদার, সহ সভাপতি সারোয়ার হোসেন জমাদ্দারসহ একাধিক নেতার তর্ক বির্তক শুরু হয়। উভয়পক্ষের কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।
তেলিখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম তালুকদার মাসুম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক দাবি করে জাতীয় পার্টি জেপির নেতৃবৃন্দ বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে একাট্টা হয়ে যে নিকৃষ্ট ভাষায় বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিল তা শুনে মুজিব আদর্শের কেউ চুপ করে থাকতে পারে না। আমরা প্রতিবাদ করেছি। বিএনপি এবং জেপির নেতারা মিলে আমাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতার বাড়ির ওই ইফতারে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপির যুব সংহতির সভাপতি রিজভি জমাদ্দার, উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মামুন সরদার উপস্থিত ছিলেন। তারাও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে জেপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডার জেরে রাতে ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলামের বাসভবন ও উপজেলা পরিষদে হামলা করেছে জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় রিয়াজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ২৭ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৬০ থেকে ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আশিকুজ্জামান বলেন, ৪৫ কিলোমিটার দুরে একটি ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার জের উপজেলায় এসে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন ও উপজেলা পরিষদে হামলার ঘটনা শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।