বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
যশোর: বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার হোটেল-মোটেলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে যশোর শহরের ১৬টি হোটেলে তাদের রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হোটেল মালিকরা সম্মত হয়েছেন, তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অর্ধেক খরচে ভারতফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখবেন।
জানা যায়, বেনাপোল হয়ে গত ৭ দিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ দেশে ফিরেছেন। ইতিমধ্যে বেনাপোলের সব হোটেল ও পর্যটন মোটেল ভরে গেছে। সেখানে নতুনদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ভারত থেকে যে লোক ফেরত আসার কথা ছিল তা থেকে অনেক বেশি আসছে। বেনাপোল বন্দরের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে।
ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদ্রাসা ভবনও পূর্ণ। যে কারণে এখন যশোর শহরের হোটেলগুলো রিকুইজিশন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। হোটেলের মালিকরা ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘যেসব স্থানে ভারতফেরতদের রাখা হচ্ছে সেখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। ১৪ দিন অবস্থানের পর কোভিড পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার ফলে নেগেটিভ সনদ পেলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। ফেরত দেয়া হবে তাদের স্ব স্ব পাসপোর্ট।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুপ আলম বলেন, গত ৭ দিনে ১৫৩৮ জন বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশন কার্যাদি শেষে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সুরক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তারা। ১৭ জন করোনা আক্রান্তকে যশোরে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ১৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে।