নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম:চোখের জল থামছে না ভারতে আটকে পড়া চিলমারী উপজেলার ২৬ জনের পরিবারে।
মাসের পর মাস যাচ্ছে কেটে, সন্তানরা ফিরে পাচ্ছেনা বাবাকে, স্ত্রীরা মুখ দেখছেনা স্বামীর, মায়েরা সন্তানের অপেক্ষায় ছুটছে দিগবিদিগ। পরিবারের প্রধানরা দীর্ঘদিন থেকে বাড়িতে না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে আটক জেলেদের পরিবারের স্বজন। কবে ফিরবে তারা অপেক্ষায় চিলমারী।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা ব্যাপারী পাড়ার বেশ কিছু জেলে পেশা অবলম্বন ও ভারতে থাকা স্বজনদের সাথে দেখা করাসহ বিভিন্ন কাজের জন্য বৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করে। এর মধ্যে অনেকে ফিরে এলেও আটকা পড়ে ওরা ২৬জন। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন ঘোষনা করে ভারত সরকার। লকডাউনে আবারো আটক পড়ে তারা।
ভারতে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন ছিল ৩মে/২০২০। সেদিনেই চেংরাবান্ধা চেকপোষ্ট খুলে দেয়ার কথা শুনে তাঁরা আসামের জোড়হাটা থেকে ধুবড়ির উদ্যোগে রওনা দেন। পথিমধ্যে চাপোবৎ থানা পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটকের ২দিন পর তাদের সাথে চাপোবৎ থানা পুলিশ ভিডিও কলের মাধ্যমেরপরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেন বলে জানান আটককৃত সাইফুল ইসলামের ভাই মাছুদ রানা।
কথা হতেই আটক রেজাউলের মা হাউ মাউ করে কেঁদে উঠেন আর তার ছেলেকে ফিরে চান। চান ছেলেকে জড়িয়ে আদর করতে। ছেলেকে দীর্ঘদিন থেকে দেখতে না পেয়ে পাগল প্রায় রহিমা।
আটক মাইদুল ইসলামের বউ ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে পড়েছে বিপাকে। পারছে না কাঁদতে, পারছে না ছেলে মেয়েদের কথা উত্তর দিতে। এর উপর নেই ঘরে খাবার। রেবেকা স্বামীকে ফিরে পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
চিলমারীর অধিবাসী কেন্দ্রীয় রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির আহবায়ক নাহিদ হাসান নলেজ বলেন, সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আটকে পড়াদের বর্তমান অবস্থা এবং অবস্থান জানতে না পেরে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাদের স্বজনরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন সবদিক থেকেই সাধ্যমত চেষ্টা করা হচ্ছে।