দিল্লি: গত বছর করোনার কারণে ভারতে বিদেশি পর্যটক আসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। লোকসভায় প্রশ্নের জবাবে পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে প্রথম নয় মাস অর্থাৎ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর বিদেশি পর্যটকদের আগমন কমে গিয়েছে ৯৭ শতাংশ। এই সময় বিদেশি পর্যটকের আগমন হয়েছে ০.২১ মিলিয়ন যেখানে ২০১৯ সালে অংকটা ছিল ৭.৭৫ মিলিয়ন।
মার্চ মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার সময়সীমা দফায় দফায় বাড়াতে হয়েছে । যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বন্দে ভারত মিশন এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে কিছু উড়ান চলাচল করলেও মোটের উপর উড়ান চলাচল চরমভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল।
যদিও ভারতের অন্তর্দেশীয় পর্যটক এর বাজার বেশ বড়, তবে বিদেশি পর্যটকদের অবদান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিশেষত বিদেশি মুদ্রা আয়ের জন্য। ২০১৯ সালে বিদেশি মুদ্রা আয় হয়েছিল ২৯.৯৬ বিলিয়ান ডলার এবং তার আগের বছর ২৮.৫৯ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে এই অংকটা কমে আসে ৬.১৫ বিলিয়ন ডলারে।
করোনা অতি মহামারীর প্রভাব পর্যটন শিল্পে কতটা পড়েছে তা খতিয়ে দেখতে পর্যটন মন্ত্রক সম্প্রতি দিল্লি ভিত্তিক ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক্স রিসার্চ (এনসিএইআর) এই ক্ষেত্রে অবস্থান খতিয়ে দেখতে বলেছে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আয় কমেছে কতটা, কতজন কর্মী কাজ হারিয়েছে ইত্যাদি পর্যটন শিল্পে । পাশাপাশি ওই সমীক্ষায় বুঝতে চেষ্টা করা হচ্ছে কি ধরনের পদক্ষেপ দরকার যাতে পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল হিসাব বলছে, করোনা অতি মহামারীর জন্য জন্য ১৭৪ মিলিয়ন কর্মসংস্থান হারাবে। ভারতের ক্ষেত্রে এই চাকরি চলে যাওয়ার অংকটা ৫ মিলিয়ন। পর্যটন ক্ষেত্র একের পর এক অনুরোধ রেখেছে মন্ত্রকের কাছে কিন্তু এর সরাসরি কোন রিলিফের ব্যবস্থা করেনি সরকার। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের অংশ হিসেবে সরকার ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে জামিন বিহীন ঋণ সরাসরি ক্ষুদ্র ছোট-মাঝারি উদ্যোগীদের জন্য। এর ফলে কিছু ছোট মাঝারি পর্যটন সংস্থা রিলিফ পাবে বলে মনে করা হয়েছিল ।