বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আজও মানুষের ‘ভার্জিনিটি’ নিয়ে মনোভাব বদলায়নি। আজও অনেকে মনে করেন, কোনও মহিলার ‘ভার্জিনিটি’ নষ্ট হয়েছে মানেই সেই মহিলা বিবাহযোগ্য নয়। একুশ শতকে দাঁড়িয়ে আজও সমাজের একাংশকে গ্রাস করে রেখেছে এই ভ্রান্ত ধারণা। ঠিক এই কারণেই অনেক মহিলা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের ‘ভার্জিনিটি’ ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। অর্থাৎ, ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন সতীচ্ছদ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই অস্ত্রোপচারের নাম ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’।
তবে, আর নয়, এই নিয়ম এবার অবৈধ ঘোষণা করল ব্রিটেন। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি স্বাস্থ্য বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক, হাইমেনোপ্লাস্টি বেআইনি বলে গণ্য হবে। গত বছর জুলাই মাসেও এই আইন প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। কিন্তু, সেই সময় এই আইন বাতিল হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ব্রিটেনের মহিলারা তাঁদের দিনের পর দিন হাইমেনোপ্লাস্টি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। সেক্ষেত্রে তাঁদের অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। এই প্রসঙ্গে রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রেসিডেন্ট ড. এডওয়ার্ড মরিসের মতে, চিকিৎসাশাস্ত্রের নীতিতে হাইমেনোপ্লাস্টি মোটেই ন্যায়সঙ্গত নয়। সেই কারণেই কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং তথাকথিত কুমারীত্ব ফেরানোর এই শল্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।