নোয়াখালী জেলার হাতিয়ায় নবগঠিত ভাসানচর থানা উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এটি উদ্বোধন করেন। হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা নিয়ে এই থানা গঠিত হয়েছে।
মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচর। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কি.মি. ও প্রস্থ ৬ কি.মি.। আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গ কি.মি.। হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি. পূর্বে ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে ৫ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত। এটি নোয়াখালীর দশম থানা।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গারা এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে বিধায় আরও রোহিঙ্গা এখানে বসবাসে আগ্রহী হয়ে দলে দলে আসছে। তাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য থানা গঠন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে থানার জনবল বৃদ্ধিসহ যা যা করা সরকার তা করবে
ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩-এ বসবাসকারী মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাসহ অন্যদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতের জন্য একজন পুলিশ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), দুই জন উপপরিদর্শক (এসআই), চার জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও ১৭ জন কনস্টেবলসহ মোট ২৪টি পদ নিয়ে ভাসানচর থানার কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হলো।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন– স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩-এর প্রকল্প পরিচালক কমোডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।