বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা
ফরিদপুর: খুলে দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বন্ধ করে হলো শহরের সব মার্কেট ও বিপণি বিতান।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার থেকে সব মার্কেট ও বিপণি বন্ধ।
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার থেকে সব মার্কেট ও বিপনী বিতান বন্ধ রাখার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
রবিবার থেকে শহরের নিউমার্কেটসহ অন্যান্য বিপণি কেন্দ্র খোলা হয়। তবে প্রথম দু’দিনেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ।এভাবে চললে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে- এ আশঙ্কায় সব মার্কেট ও বিপনী বিতান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে নিউমার্কেট ও চকবাজার কাপড় পট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, মার্কেটের গেটে পুলিশ প্রহরা রয়েছে। ব্যবসায়ী কমিটির কর্মকর্তারা হ্যান্ড মাইকে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন।
তবে প্রতিটি অলিগলি ও দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় কমানো যায়নি। ক্রেতাদের সিংহভাগই নারী। কোলের শিশুও নিয়ে এসেছেন তারা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন না অনেকে। ভিড় সামলাতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী কমিটির কর্মকর্তারা তৎপর ছিলেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটে আসা ক্রেতাদের বেশিরভাগই দূরদূরান্ত ও গ্রাম থেকে আসা। তারা কিনছেন কম দামের শাড়ি, লুঙ্গি, গেঞ্জি, জুতা-স্যান্ডেল ও কাপড়চোপড়। বেশি দামের কোনো পণ্যই তারা বিক্রি করতে পারেননি এই দু’দিনে।
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের (এফসিসিআই) নেতৃবৃন্দ সোমবারও সরেজমিনে অবস্থা পরিদর্শন করেন।
এফসিসিআই পরিচালক নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী বলেন, মার্কেটে একদিন এক পাশের ও অন্য দিনে আরেক পাশের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবারের একজনের বেশি না আসা ও কোনক্রমেই শিশুদের না আনার কড়া নির্দেশনা রয়েছে। যেসব নির্দেশনা আমরা দিয়েছিলাম তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না।